Published : 28 Nov 2023, 04:46 PM
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় এক বিএনপি নেতার বাড়িতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর পর ভেতরে ঢুকে প্রাইভেটকার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেনের আলাইয়ারপুর গ্রামের বাড়িতে সোমবার গভীররাতে এ ঘটনা ঘটে বলে তার স্ত্রী ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহীনা আকবর জানিয়েছেন।
দাগনভূঞা পৌরসভার সাবেক মেয়র আকবর হোসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ছোট ভাই ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান হাজী সফি উল্লাহর ছেলে।
বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা অবরোধের সমর্থনে গত ২৫ নভেম্বর রাতে উপজেলার ফেনী-মাইজদী মহাসড়কে আকবরের নেতৃত্বে মশাল মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে তাকে ঘেরাও করে পুলিশে ধরিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।
বর্তমানে আকবর কারাগারে রয়েছেন বলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলল উদ্দিন আলাল জানিয়েছেন।
হামলা ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সরকারি দলের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন আকবরের স্ত্রী শাহীনা। যদিও তা অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সাংবাদিকদের শাহীনা বলেন, “আকবরের সাদা রঙের মিতসুবিশি প্রাইভেটকারটি বাড়ির পেছনের অংশে একটি দেওয়াল ঘেরা টিনশেড ঘরে রাখা ছিল। গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ৩-৪টি ককটেল ফাটায়। পরে তারা দেওয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে বাড়ির কর্মীর থাকার ঘর ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে গাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
ফেনী থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভালেও গাড়িটি ততক্ষণে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।”
আকবরের বাড়ির ঝর্ণা আক্তার নামের এক নারী বলেন, “গত ১০/১৫ দিন ধরে গাড়িটি ওইখানেই ছিল। রাত ২টার দিকে হঠাৎ ককটেল ফাটার শব্দ শুনে আমরা ঘর থেকে বের হয়ে দেখি,গাড়িতে আগুন জ্বলছে। রাতের আধারে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তা দেখিনি।”
এ বিষয়ে দাগনভূঞা থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। এটা নাশকতা, নাকি গাড়িতে থাকা ব্যাটারির বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তাও তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন মামুন বলেন, “আকবরের বাড়িতে হামলা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ বা তাদের অঙ্গসংগঠনের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। তবে ঘটনাটি যারাই করে থাকুক, তা দুঃখজনক।”