পূর্ব শত্রুতার জেরে ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনের নির্দেশে আনোয়ারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
Published : 02 Feb 2024, 09:21 PM
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পুলিশের হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের এসআইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
সরিষাবাড়ী আমলী আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের বাবা আব্দুস সামাদ দুলু বাদী হয়ে মামলটি দায়ের করেন বলে তার পক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন (৪০), সরিষাবাড়ী থানার এসআই শহিদুল ইসলাম (৩৫), একই ইউনিয়নের দোলভিটি গ্রামের প্রয়াত নুরুল ইসলামের ছেলে ইউপি চেয়ারম্যানের খালাতো ভাই সোহেল রানা (২৮), ফিরোজ মিয়া (৩৪) ও চাপারকোনা গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে মনছুর মিয়া (৩২)।
সাইফুল ইসলাম বলেন, “আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তানজিনা আক্তার মামলাটি আমলে নিয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসিকে ওই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা আদালতকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।”
মামলা বিবরণে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকালে আনোয়ার হোসেন সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপারকোনা বাজারে যান। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনের নির্দেশে তার অনুসারী সোহেল রানা, ফিরোজ মিয়া ও মনছুর মিয়া আনোয়ারকে তুলে চাপারকোনা মহেষ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে নিয়ে মারধর করেন।
এরপর হামলাকারীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে আনোয়ারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার সরিষাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। রাত ১১টার দিকে চেয়ারম্যান স্বপন লোকজন নিয়ে থানায় ঢোকেন। পরে তিনি আনোয়ারের বাবা আব্দুস সামাদ দুলুকে ফোন করে জানান যে, তার ছেলেকে গুরুতর অবস্থায় সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে আনোয়ারকে মৃত অবস্থায় পায় স্বজনরা।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারছি না। আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক।”
সরিষাবাড়ী থানার এসআই শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে ওই থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, আনোয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় আদালত যেসব তথ্য জানতে চেয়েছে, তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়া হবে।