পটুয়াখালীতে দুই স্কুলছাত্র খুনের মামলায় একই বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বাউফল থানার ওসি আল মামুন জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার দুজনই বাউফল উপজেলার ‘ইন্দ্রকূল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে’ নবম শ্রেণির ছাত্র। দুজনেরই বয়স ১৪ বছর।
গত বুধবার বিকালে স্কুল ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার পথে একদল কিশোরের ছুরিকাঘাতে ‘ইন্দ্রকূল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে’ নবম শ্রেণির দুই ছাত্র নিহত হয়।
ওসি জানান, দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার দুপুরে ছয় জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহত নাফিসের মা নার্গিস বেগম।
আসামি সবাই একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র বলেও ওসি জানান।
ওসি সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে বাউফলের কালাইয়া থেকে ট্রলারযোগে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন পালিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদ পেয়ে বাউফল থানা পুলিশ অভিযান চালায়।
তিনি জানান, ট্রলার থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ইন্দ্রকূল গ্রামের বাড়ি থেকে আরেকজনকে ধরা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ইন্দ্রকূল গ্রামের পার্শ্বকর্তী পাঙ্গাশিয়া গ্রামের একটি মাহফিলে কয়েকজন স্কুলছাত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে গত বুধবার স্কুল চলাকালে তাদের মধ্যে আবার বিরোধ হয়।
অভিযোগে বলা হয়, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে স্কুল ছুটি হলে ইন্দ্রকূল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র বাড়ি যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের অদূরে সেতুর কাছে পৌঁছালে আরেকদল ছাত্র তাদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে দশম শ্রেণির তিন ছাত্র জখম হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দুজন ইন্দ্রকূল গ্রামের মিরাজ মোস্তফার ছেলে নাফিস (১৫) ও বাবুল হাওলাদারের ছেলে মারুফ (১৫) মারা যায়।
এ ছাড়া এনামুল মৃধার ছেলে মো. সিয়াম (১৫) বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকালে নিহত দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
পটুয়াখালীতে ২ শিক্ষার্থী খুন: জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে সহপাঠীদের বিক্ষোভ
পটুয়াখালীতে ছুরি মেরে দুই স্কুল ছাত্রকে খুন, সন্দেহে কিশোররা