সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
Published : 15 May 2024, 01:54 PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চার নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও আশিকুর রহমান অপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও আশিকুর রহমান অপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেটা লিখিতভাবে সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলকে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।”
এ ব্যাপারে বহিষ্কৃত আশিকুর রহমান অপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত কয়েকদিনের ধরে চলা সংঘর্ষে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। কোনো তদন্ত ছাড়া এভাবে বহিষ্কার সম্পর্কে আমার জানা নেই। তাছাড়া এ ঘটনায় আমার কক্ষে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, “সংগঠন পরিপন্থি কাজ ও বিশৃঙ্খলার দায়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংঘর্ষের ঘটনার পর আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে এ বিষয়ে অবহিত করেছিলাম, তারা তদন্ত করে চারজনকে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে।
“ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী অন্যায় করে পার পায় না। সংগঠন পরিপন্থি কাজ করলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি আবারও প্রমাণিত করলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।”
এর আগে গত শনিবার রাত ১১টা থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পালটা-ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ছয়টি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ও মাদার বখশ হলের মধ্যবর্তী রাস্তায় উত্তেজনা বিরাজ করে। এই সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের পক্ষ।
এছাড়া সোমবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের এক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাতেই মাদার বখশ ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের মধ্যবর্তী রাস্তায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, রড ও ইট-পাটকেল নিয়ে জড়ো হন।
আরও পড়ুন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, হাতবোমা বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে 'হত্যার হুমকি', অস্ত্র