গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার একটি মামলার তদন্তে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ায় শফিকুল সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
Published : 04 Jan 2025, 01:00 PM
গাজীপুরের জয়দেবপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করার পর থানায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন জামায়াতের ইসলামীর নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার রাত ৮টার পর গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা চত্বরে নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ করেন বলে জানিয়েছেন জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম
গ্রেপ্তার শফিকুল সিকদার গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিকেবাড়ী এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে। তিনি ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
ওসি আব্দুল হালিম বলেন, এ থানার একটি মামলার তদন্তে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা শফিকুল সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
“আটকের পর তাকে থানায় আনা হলে শুক্রবার সন্ধ্যার পর গাজীপুর সদর উপজেলার জামায়াতের কিছু নেতা-কর্মী তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে মুক্তির জন্য থানায় জড়ো হতে থাকে এবং থানা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।”
এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে ২৩ নম্বর ক্রমিকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শফিকুল সিকদারের নাম রয়েছে।
“এখনও তিনি ওই পদে আছেন। তিনি বহিষ্কার বা পদত্যাগ করেননি”- যোগ করেন ওই নেতা।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “শফিকুল সিকদার ২০১৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের পর তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে জামায়াতের ফরম পূরণ করে আমাদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।”
মোস্তাফিজুর রহমান আরও দাবি করেন, “অন্য একটি দলের নেতারা তাকে তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় তারা তাকে ওই মামলায় পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে তার বিষয়ে কথা বলার জন্য জামায়াতের স্থানীয় নেতারা থানায় গিয়েছেন।”
গাজীপুর সদর উপজেলার জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ আব্দুল বারী জানান, “রাজনৈতিক দল বা সংগঠন করার অধিকার সবারই আছে। তবে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়।
“শফিকুল সিকদার আওয়ামী লীগের চাপে পড়ে ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে সাংগঠনিক পদে থাকলেও মনে-প্রাণে আমাদের প্রতি তার সমর্থন ছিল। গত সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের সঙ্গে কর্মী হয়ে প্রকাশ্যে কাজ করছেন।”