চিকিৎসকরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
Published : 13 Apr 2025, 07:11 PM
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে এবং ছয় দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চিকিৎসক-স্টাফরা।
এতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্যান্য সব বিভাগে চিকিৎসাসেবা সাময়িক বন্ধ রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রোববার সকাল ১১টা থেকে হাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান রুস্তমের দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন চিকিৎসকরা। এ সময় তারা তত্ত্বাবধায়ককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এর আগে শুক্রবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক হৃদরোগীর মৃত্যু হলে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা দায়িত্বরত চিকিৎসক নাইমুল হাসনাতের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে।
এর একদিন পর শনিবার রাতে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক এফরান মাহমুদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হুমকি দেয় রোগীর স্বজনরা। পরে নিরাপত্তার শঙ্কায় চিকিৎসক এফরান হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
রোববার সকালে আবারও ওই রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল এসে চিকিৎসকের খোঁজ নিতে থাকেন এবং তাকে হুমকি দিয়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেন।
এই ঘটনার পরপরই হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন এবং কর্মবিরতি শুরু করেন।
এ সময় চিকিৎসকরা ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে-
১. ডা. নাইমুল হাসনাতকে নির্যাতনকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
২. ডিউটিরত চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. সরাসরি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা চিকিৎসকদের নির্যাতনের হমকি দিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৪. পর্যাপ্ত চিকিৎসক পদায়ন দিয়ে চলমান চিকিৎসক সংকট সমাধান করতে হবে।
৫. জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতাল চত্তরে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে।
৬. দালালমুক্ত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
দাবি না মানা এবং হাসপাতালে কর্মরতদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন চিকিৎসক ও স্টাফরা।