বছরখানেক আগে নাঈমকে তালাক দিয়ে আলাদা বাসায় থাকছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক মীম।
Published : 30 Jan 2024, 10:16 PM
ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক।
মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়ার কাঁইচাবাড়ী এলাকায় শফুর মণ্ডলের মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে বলে আশুলিয়া থানার এসআই সাদরুজ্জামান জানান।
নিহত মীম আক্তার (২২) নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার খোকশাবাড়ি গ্রামের মংলা সরদারের মেয়ে। তিনি স্থানীয় ফোরএ ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
নাঈম (২৫) নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার মকিমপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।
পরিবার জানায়, তিন বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন নাঈম ও মীম। দুই বছর সংসার করার পর তারা আলাদা হয়ে যান।
মীমের রুমমেট ও বান্ধবী গার্মেন্ট শ্রমিক নাতাশা বলেন, “দুপুরে লাঞ্চের বিরতিতে আমরা কারখানা থেকে বাসায় আসি। এর কিছুক্ষণ পর নাঈমও বাসায় আসেন। এসেই আমাকে বাইরে যেতে বলেন। আমি আপত্তি করলে নাঈম আমাকে জোর করে রুম থেকে বের করে দেন।
“তখন আমার সন্দেহ হলে আবারও রুমে যাই এবং দেখি নাঈমের হাতে ছুরি। তারা দুজনে কথা কাটাকাটি করছেন। আমাকে দেখে নাঈম ছুরি নিয়ে তেড়ে আসেন। তখন আমি ভয়ে দৌড়ে নিচে নেমে এসে বাসার লোকজনকে জানাই।”
নাতাশা বলেন, “পরে সবাই পুনরায় গিয়ে দেখি রুমের দরজায় ছিটকিনি লাগানো। ভেতরে কোনো সাড়াশব্দ নেই। তখন দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি মীম মেঝেতে পড়ে আছেন আর নাঈম ফাঁস নিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন।”
মীমের ভাই খোরশেদ আলম বলেন, “নাঈম মাদকাসক্ত। অনেক বলেও তাকে ভালো করা যায়নি। আমার বোন এসব কারণে তাকে তালাক দেয়। কিন্ত নাঈম কয়েকদিন ধরে মীমকে খুঁজে বের করেন এবং আমাদের কাছে তার আগের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চান। তিনি জানান, মীমকে ফের বিয়ে করে সংসার করবেন। এর মধ্যেই আজ এ ঘটনা ঘটল।”
আশুলিয়া থানার এসআই সাদরুজ্জামান বলেন, মীমের বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাতের বেশ কয়েকটি ক্ষত রয়েছে। র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসআই।