“আপিলের সিদ্ধান্তের ওপর প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি নির্ভর করবে। আইনগত বিষয় হওয়াতে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না।”
Published : 28 Dec 2023, 04:38 PM
প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে সমর্থকদের নিয়ে মানববন্ধন করেছেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা মুহিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মুহিবুর রহমান। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে কার্যালয় প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন নেতাকর্মীরা।
বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে মেয়র পদ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। ইসিতে আপিলেও নামঞ্জুর হয় তার মনোনয়ন।
পরে হাই কোর্টের শরণাপন্ন হলে ২৪ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পান মুহিবুর।
তিনি বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান। এর আগে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
এবার বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে মুহিবুর রহমান ছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী (লাঙল), গণফোরামের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য)।
মানববন্ধনে মুহিবুর রহমানের সমর্থকদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘জেলা প্রশাসকের অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ কর’, ‘হাইকোর্টের আদেশ মানতে হবে’, ‘অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চাই’, ‘২৪ ডিসেম্বর হাই কোর্ট প্রার্থিতা বহালের রায় দিলেও এখন পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া ষড়যন্ত্র নয় কি?’, ‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়’ ইত্যাদি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা শেষে মুহিবুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, “নৌকার প্রার্থীকে সুবিধা করে দিতে এবং আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এমন কাজ করছে কমিশন; এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”
তবে এ বিষয়ে সিলেট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান বলেন, “নির্বাচন কমিশন হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। আপিলের সিদ্ধান্তের ওপর প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি নির্ভর করবে। আইনগত বিষয় হওয়াতে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না।”
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুস শহীদ, জাহেদ আহমেদ, মাসুক মিয়া, ফজলু মিয়া, রফিক মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সিরাজ মিয়া।
এখানে নির্বাচনে আরও প্রার্থী হয়েছেন- তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আবদুর রব (সোনালী আঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনোয়ার হোসেন (আম) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির (ডাব)।