গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানায় মাকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ছেলের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার দুপুরে কোনাবাড়ি কলেজ গেট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. দিদারুল ইসলাম।
নিহত ৬০ বছর বয়সী জোৎস্না বেগম কাপাসিয়া উপজেলার ঘোষেরকান্দি গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের স্ত্রী।
তাদের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন মাসুদ (৩০) মানসিক প্রতিবন্ধী বলে মাসুদের ভগ্নিপতি জানিয়েছেন।
সহকারী পুলিশ কমিশনার দিদারুল ইসলাম বলেন, “মাসুদের চিকিৎসা করাতে তিন দিন আগে তাকে নিয়ে কোনাবাড়িতে মেয়ের ভাড়া বাসায় ওঠেন জোৎসা বেগম।
“বুধবার সকালে তাদের বাসায় রেখে মেয়ে এবং জামাই নিজেদের চিকিৎসার জন্য বাইরে যান। দুপুরে মাসুদ তার মাকে ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা আটকে দেন।
“ঘর থেকে জোৎস্না বেগমের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দরজা খুলতে বললেও মাসুদ শোনেনি। পরে জানালা দিয়ে জোৎস্না বেগমকে কোপাতে দেখে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেয়।”
এক পর্যায়ে মাসুদ ঘর থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
নিহতের মেয়ে জামাই বজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “মাসুদ বেশ কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে।”
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
কোনাবাড়ি থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।