জয়পুরহাটে মামাকে হত্যার ২২ বছর পর ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ নূর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্র নাথ মণ্ডল।
দণ্ডপ্রাপ্ত আলাউদ্দীন জয়পুরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম পারুলিয়ার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথির বরাতে পিপি নৃপেন্দ্র বলেন, ২০০১ সালের ১৮ মে রাতে পারুলিয়া সাকিন এলাকার বাড়ি থেকে আব্দুর রশীদকে গল্প করার কথা বলে ডেকে নিয়ে যান তার বোনের ছেলে আলাউদ্দীন। ওই রাতেই কোনো এক সময় পুরানাপৈল রেললাইনের পাশে রশীদকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
পরদিন সকালে রেললাইনের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রশীদের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২৩ মে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সান্তাহার জিআরপি থানায় একটি মামলা করেন।
এ মামলায় দীর্ঘ সময় শুনানি চলে জানিয়ে পিপি বলেন, সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আলাউদ্দীনই তার মামাকে হত্যা করেছেন প্রমাণিত হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন।
একইসঙ্গে রায়ে আলাউদ্দীনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী নৃপেন্দ্র।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই আসামি আলাউদ্দিন কারাগারে রয়েছেন উল্লেখ করে পিপি নৃপেন্দ্র বলেন, কারাগারের এই সময়টা তার সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।