পুলিশ জানায়, বিকালে দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে খেলার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
Published : 14 Nov 2023, 04:37 PM
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে ছয়জন আহত হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলা প্রশাসন মাঠে ৫০তম জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কাবাডি ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে কোটবাড়ি গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল এবং বামিশা হাজী আকামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া জানান।
ছুরিকাঘাতে আহতরা বামিশা হাজী আকামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা হল- সপ্তম শ্রেণির রাজু, অষ্টম শ্রেণির নাজমুল হাসান, নবম শ্রেণির মোহাম্মদ হোসেন জিতু ও মাজিদ, দশম শ্রেণির সাজ্জাদ হোসেন ও সামী।
শিক্ষার্থীদের বরাতে পুলিশ জানায়, বিকালে দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে খেলার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছুরিকাঘাতে ছয় শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার শিক্ষার্থীদের দেখতে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দীন বলেন, “হাসপাতালে কয়েকজন চিকিৎসা নিয়েছে। তিনজন বেশি আহত ছিল। একজনের শরীরে বড় আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ তারা সবাই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে।”
এ বিষয়ে বামিশা হাজী আকামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দাশ বলেন, “আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
কোটবাড়ি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রোকসানা মজুমদার বলেন, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছে বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু জানি না। আমার স্কুলের কেউ আহত হয়েছে বলে জানি না।
“দুজন শিক্ষকের নেতৃত্বে খেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য শুধু খেলোয়াড়দের পাঠিয়েছি। যেসব শিক্ষার্থী বাড়তি গিয়েছে তাদের কোনো অনুমতি দেইনি। কেউ যদি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে ব্যবস্থা নেব।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে সভা ডাকা হয়েছে তারপর বিস্তারিত বলতে পারবেন বলে জানান রোকসানা মজুমদার।
সদর দক্ষিণ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় দুই স্কুল প্রধানসহ দায়িত্বশীলদের মঙ্গলবার ডাকা হয়েছে। জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, “শিক্ষার্থীরা রোববারের একটা ঘটনা নিয়ে আবার বাকবিতণ্ডায় জড়ায় বলে শুনেছি। তবে কী ঘটনা হয়েছিল তা বলতে পারবো না।”
সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম বলেন, “আমি ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে ছিলাম। পরে ঘটনা শুনেছি। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসব। জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেসবুক লিংক]