Published : 12 Mar 2025, 03:43 PM
ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে হাই কোর্টের রায় আসার পর কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
তবে বাকি চার দাবি পূরণে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বুধবার বেলা ১টায় কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস ফোরামের সভাপতি আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, “উচ্চ আদালত ডাক্তার পদবি লেখা বন্ধ করার আদেশ দিয়েছে। কিন্তু আরও যে চার দফা দাবি রয়েছে সেগুলো এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
“সে কারণে আমাদের চার দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। পরে সেই আন্দোলনে রূপরেখা তৈরি করা হবে।”
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে বুধবার সকাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর সেবা বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। সেবা না পেয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো হল- এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবে না, বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট প্রত্যাহার করতে হবে, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করা, স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন, নিম্নমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন।
এ ছাড়া ডাক্তারদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছর পর্যন্ত করার দাবিও রয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের।
পাঁচ দফা দাবিতে সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতির মধ্যেই আদালতের সিদ্ধান্ত আসে।
রায়ে আদালত বলেছে, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া আজ পর্যন্ত যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে বৃহস্পতিবার থেকে আইন ভঙ্গ করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সংকর কে বিশ্বাস বলেন, “সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বর্হিবিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ হাজার রোগী চিকিৎসা নেয়। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের আন্দোলনের অংশ হিসাবে বর্হিবিভাগ বন্ধ করে দেয়। এ জন্য রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গেছেন।
“যেহেতু আদালতের রায় তাদের পক্ষে এসেছে এজন্য আশা করছি, কাল থেকে যথারীতি চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে।”