কয়েকজন যাত্রী জানান, আশপাশে কোনো খাবারের দোকান না থাকায় তারা খাদ্যও সংগ্রহ করতে পারছেন না।
Published : 22 Aug 2024, 08:59 PM
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনী অংশের কিছু স্থানে প্রায় কোমর সমান পানি উঠে গেছে। এর ফলে ঢাকামুখী যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। দেখা দিয়ে দীর্ঘ যানজট।
তবে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে হঠাৎ হঠাৎ দু-একটি গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ফেনীর লালপোল এলাকায় ঢাকাগামী বাসে থাকা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা ভয়ানক বিপদের মধ্যে পড়েছেন। যেখানে বাস থেমে আছে, সেখানে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। আশপাশে কোথাও কোনো খাবারের দোকান নেই। বাস থেকেও নামতে পারছেন না। ফলে কখন তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন সেটাও বুঝতে পারছেন না।
কুমিল্লার বাসিন্দা আব্দুর রহমান সকালে কক্সবাজার থেকে রওনা হয়েছেন। বিকাল ৪টার দিকে তিনি ফেনীর লালপোল এলাকার লেমুয়া ওভারব্রিজের কাছে এসে আটকা পড়েন।
রাত ৮টায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহাসড়কে পানির কারণে বাস থেকে বিকাল ৪টায় এসে থেমে গেছে। সামনে আরও অনেক বাস। চার ঘণ্টাও একটু নড়েচড়েনি। পানি বাড়তে বাড়তে কোমর সমান হয়ে গেছে। প্রাইভেট কার প্রায় ডুবে যায় অবস্থা।
“কখন বাস চলবে, কখন কুমিল্লায় পৌঁছাতে পারব, কিছুই বুঝতে পারছি না। বাসে বাচ্চারা আছে। তাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ।”
আব্দুর রহমান বলছিলেন, এই মহাসড়কে প্রায় ৪০ কিলোমিটারের মতো যানজট হয়েছে বলে শুনতে পারছি।
একই স্থানে আটকেপড়া বাসের যাত্রী সাদিয়া পুতুল বলছিলেন, তিনি জীবনে কখনো এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়েননি। পানির কারণে বাইরে বের হওয়ার কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না। কাছাকাছি কোথাও কোনো ওয়াশরুমও দেখছেন না।
তিনি বলছিলেন, “রাত বাড়ছে, সব দিকেই সংকট হচ্ছে। খাবারের কোনো ব্যবস্থাও নেই।”
কুমিল্লার বাসিন্দা শামসুল আলম রাজন চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়েছেন বাড়ির উদ্দেশে। তিনিও লেমুয়া ওভারব্রিজ এলাকায় এসে আটকে আছেন।
তিনি বলছিলেন, “আগে জানলে রওনা হতাম না। শুনতে পারছি সামনে-পেছনে বিশাল যানজট।”
আরও কয়েকজন যাত্রী জানান, আশপাশে কোনো খাবারের দোকান না থাকায় তারা খাদ্যও সংগ্রহ করতে পারছেন না। ফলে অনেক যাত্রীকে অভুক্ত অবস্থায় থাকতে হচ্ছে।
পানি কখন কমবে, কতক্ষণ এভাবে রাস্তায় বসে থাকতে হবে সবই অনিশ্চিত।