শ্রমিকদের অভিযোগ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়লেও তাদের বাড়েনি।
Published : 28 Aug 2024, 10:40 PM
ঢাকার ধামরাইয়ে বেতন-ভাতা বাড়ানো, চাকরি স্থায়ীকরণসহ ২২ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ‘দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড’ এর শ্রমিকরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সর্বনিম্ন বেতন ২০ হাজার টাকা, চাকরির বয়স তিন বছর হলে স্থায়ীকরণ, প্রতিবছর বেতন বাড়ানো, ডিজিএম (প্রোডাকশন) জাহিদুল ইসলামের পদত্যাগসহ ২২ দফা দাবি তোলেন শ্রমিকরা।
খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারখানার মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেন। এতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে কারখানার বাইরে আসতে পারেননি।
তবে শ্রমিকেরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়লেও তাদের বাড়েনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার এক শ্রমিক বলেন, “ডেইলি বেসিসে কাজ করি, প্রায় ১০ বছর ধরে পেটের দায়ে কাজ করছি। হাজিরা দেয় ৩০০ টাকা। কোনো মাসে বেতন ৮ হাজার টাকা পাই, আবার কোনো মাসে এর চেয়েও কম। এই টাকা দিয়ে ঘরভাড়া, চাল-ডাল, মাছ-তরকারি, কাপড়, বাচ্চার লেখাপড়ার খবর কোনো কিছুই ঠিকমত করতে পারি না। কষ্ট কইরা চলতাছি। আমাদের বেতন বাড়াইতে হবে।”
আরেক নারী শ্রমিক বলেন, “বি শিফটে ডিউটি করলে ছুটি হয় রাত ১০টার পর। ওই সময় বাড়ি ফিরতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। এ ছাড়া আগে ১০০ টাকা টিফিন দেওয়া হত, এখন দেওয়া হয় ৫০ টাকা। বারো বছর পর চাকরি স্থায়ী হলেও বেতন ধরা হয় ৮ হাজার টাকা। স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়াটাও বেশ জটিল।”
নয় বছর ধরে কাজ করা এক শ্রমিক বলেন, এখনও তার চাকরি স্থায়ী হয়নি। ক্যাজুয়াল বা পার্মানেন্ট কোনোটাই করা হয়নি।
তিনি বলেন, “কিন্তু যারা স্যারদের চামচামি করে তাদের অল্প সময়েই পার্মানেন্টও হয় আবার ইনক্রিমেন্টও বেশি হয়। আমার প্রতিমাসে বেতন হয় ৭ হাজার ৫০০ টাকা, কাজ কম থাকলে বাধ্যতামূলক ছুটি, সেক্ষেত্রে বেতন আরো কম হয়।”
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পরে কাজে যোগ না দিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
এ বিষয়ে কারখানার ডিজিএম জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা ধামরাই থানার পুলিশ সদস্যদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।