“জেলায় ৮৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬২টি সাইক্লোন সেল্টারসহ ৩৭টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।“
Published : 26 May 2024, 02:28 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালী নদীসহ ১১টি নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই জেলার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে; থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়ার তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে ঝালকাঠিতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারহাগুল বলেন, “জেলায় ৮৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬২টি সাইক্লোন সেল্টারসহ ৩৭টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
“ফায়ার সার্ভিসের ৮টি উদ্ধারকারী দল, নগদ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং জরুরি মুহুর্তে বিতরণের জন্য ৪'শ মেট্রিকটন চাল মজুদ আছে।”
পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ৪২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ছয়টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে জানান ফারহাগুল।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তিশালী হয়ে ওঠায় নদীপাড়ের মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নদী তীরবর্তী আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা গবাদি প্রাণী ও আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এখনও জেলার ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নদী নিকটবর্তী এলাকায় লাল পতাকা টানিয়ে সতর্কতায় প্রচার চালাচ্ছেন।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এস নিলয় পাশা বলেন, “ভাটার কারণে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জোয়ারের সময় পানি বাড়তে পারে; তখন তা বিপৎসীমার উপরে চলে যেতে পারে।”