ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, “সম্প্রতি বিদ্যালয়ে চারটি শূন্যপদে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগদানকে কেন্দ্র করে ম্যানেজিং কমিটি আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়।”
Published : 20 Jul 2023, 12:11 AM
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক সহিদুল হককে কার্যালয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবারের এ ঘটনায় শিক্ষকের ছেলে মামলার পর স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে বুধবার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে স্কুল চত্বরে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার স্কুলের অফিস কক্ষে বসেছিলেন জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক সহিদুল হক (৫৭)। এ সময় বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য জয়নাল আবেদিন এবং বিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আশিক ইসলাম শিক্ষক সহিদুল ইসলামের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও রড দিয়ে হামলা চালায়।
“এ সময় সহকর্মীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।”
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষক সহিদুল হক বলেন, “সম্প্রতি বিদ্যালয়ে চারটি শূন্যপদে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগদানকে কেন্দ্র করে ম্যানেজিং কমিটি আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। তারই জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ওপর এই হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।”
দৌলতপুর থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, হামলা ও মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষকের ছেলে তানভীর মাহমুদ বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলার পর পরই প্রধান আসামি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য তহমিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে হামলা ও মারধরের ঘটনায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ সময় মানববন্ধনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
এ সময় বক্তারা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তহমিদুর রহমানের অপসারণ দাবি করেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নূরে আলম ফরহাদ, অফিস সহকারী শিবলী আল ফারুকী, আরমান আলী, শিক্ষার্থী সাজ্জাদ মাহমুদ লিমন, জেনিফা তাসনিম, সোহানুর রহমনার, মায়া খাতুন।