পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এ দিন ১৬/১৭ হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে; যা সাধারণত ঈদের সময়ে হয়।
Published : 16 Dec 2023, 10:44 PM
বিজয় দিবস উপলক্ষে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে ঢোকার সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। পার্কের ভেতরে থাকা শিশুপার্কও ছিল উন্মুক্ত।
শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ সুযোগ ছিল বলে জানান পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “আজ পার্কে প্রবেশের ৫০ টাকা ফি নেওয়া হয়নি। ফলে পার্কে যেন ঈদের আবহ বিরাজ করছিল।”
দুপুরে সাফারি পার্কে গিয়ে দেখা যায়, বিপুল দর্শনার্থীর ভিড়। ভেতরে প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। কোনো টিকিট ছাড়াই ফটক দিয়ে শত শত দর্শনার্থী প্রবেশ করছে।
তবে বিনা টিকিটে ফটক পার হওয়া গেলেও ভেতরে থাকা কোর সাফারি, সাফারি কিংডমসহ বিভিন্ন প্রাণীর বেষ্টনিতে ঢুকতে পর্যটকদের নির্ধারিত মূল্যেই টিকিট কাটতে হয়েছে।
এখানে উন্মুক্ত পরিবেশে বাঘ, সিংহ, হরিণসহ বিভিন্ন প্রাণী দেখতে পর্যটক বাসের নির্ধারিত ভাড়া ১৫০ টাকা ছিল আগের মতই।
নরসিংদী থেকে সপরিবারে সাফারি পার্ক বেড়াতে আসা মো. কিবরিয়া বলেন, “বিজয় দিবসে দর্শনার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে না, এটা আগে জানলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে আসতাম।”
ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকা থেকে দুই সন্তান নিয়ে ঘুরতে এসেছেন নাসরিন আক্তার।
তিনি বলেন, “আজ বিজয় দিবস উপলক্ষে পার্কে প্রবেশে ৫০ টাকা ও শিশুপার্কে শিশুদের প্রবেশে ২০ টাকা নেওয়া হয়নি।”
পার্ক সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে প্রচুর দর্শনার্থী সাফারি পার্কে প্রবেশ করেন। যদিও ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থী বেশি থাকে। তবে শনিবার বিজয় দিবসে ১৫-১৬ হাজারের মত লোক সমাগম হয়েছে।
পার্কটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবছর বিজয় দিবসে পার্কের ফটক উন্মুক্ত থাকে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ বিজয় দিবসেও দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ উন্মুক্ত ছিল। শিশুপার্কের প্রবেশও ছিল উন্মুক্ত।
তার দাবি, বিজয় দিবসের দিন ১৬-১৭ হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে। যা সাধারণত ঈদের সময়ে হয়।
শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত যেকোনো বয়সের দর্শনার্থী বিনামূল্যে সাফারি পার্কে প্রবেশ করতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।
পার্কটির কোর সাফারি অংশে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আনা বাঘ, সিংহ, হরিণ, জেব্রা, জিরাফ, গয়াল, ভালুক ও কুমির। আনা হয়েছে ময়ূর, পেলিক্যান, ম্যাকাও, ধনেশ, মদনটাক, বিভিন্ন প্রজাতির হাঁসসহ আরও কিছু পাখি।
নির্ধারিত মূলের টিকিটের বিনিময়ে বিশেষায়িত বাসে চড়ে পর্যটকরা কোর সাফারি অংশে দক্ষিণ আফ্রিকার হিংস্র প্রাণীর বেষ্টনি ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।