স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ক্যাম্পাস সংলগ্ন রেললাইনে আগুন দেওয়ার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রেলপথের অবরোধ ছেড়ে গেছেন।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চারুকলা অনুষদের পাশের রেললাইনে আগুন দিয়ে রেললাইন অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রাত ১১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর তারা অবরোধ ছেড়ে চলে যান।
মহানগর পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের উপ-কমিশনার আরেফিন জুয়েল সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, মহানগর পুলিশ ও সোয়াট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অবরোধকারীরা সরে পড়েন। এরপর রেলকর্মী ও প্রকৌশলীরা রিললাইনের মেরামতের কাজ শুরু করেন।
রেললাইনে অগ্নিসংযোগ করার পর থেকে রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
মেরামতের পর ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যেতে পারে বলে জানান আরেফিন জুয়েল।
তিনি জানান, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে পুলিশ থাকবে। ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ হয়েছে তা এখনও নিরূপন করা যায়নি।
আটকা পড়েছে ৬ ট্রেন
রেললাইনে আগুন দেওয়ার পর রাজশাহীর পথে ছয়টি ট্রেন আটক পড়েছে। ট্রেনগুলো রাজশাহী স্টেশনে প্রবেশ ও স্টেশন ত্যাগ করার কথা।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাজশাহী রেলস্টেশন সংলগ্ন চারুকলা অনুষদের কাছে রেললাইনে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর থেকে রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
রাজশাহী রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আব্দুল করিম বলেন, “শিক্ষার্থীরা রেললাইনে দুটি পয়েন্টে গাছের গুঁড়ি রেখে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মধুমতি এক্সপ্রেস রাজশাহী ঢুকতে পারছে না। ট্রেনটি হরিয়ান স্টেশনে আটকে আছে।”
খুলনা থেকে আসা সাঁগরদাড়ি আড়ানি ও মহানন্দা ট্রেন ঈশ্বরদীতে এবং চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা তিতুমির আব্দুলপুরে আটকে আছে বলে তিনি জানান।
আব্দুল করিম বলেন, রাত সোয়া ৯টায় বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস রাজশাহী ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অবরোধের কারণে ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আটকে যায়।
এ ছাড়া রাত ১১টা ২০ মিনিটে ধূমকেতু এক্সপ্রেসের ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটির যাওয়া নিয়েও সংশয় থেকে যায়।