২০১৫ সালে টাকা চাইতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমা ও রফিক ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কোহিনুরকে হত্যা করেন।
Published : 30 Jun 2024, 08:18 PM
চাঁদপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় নারীসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক দুই আসামির অনুপস্থিতিদের এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁদপুরে শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকার ভুঁইয়া বাড়ির নাজমা আক্তার নয়ন (৪২) এবং একই বাড়ির রফিক ওরফে দেন্ধা রফিক।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দুইজনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ওই এলাকার কোহিনুর বেগম প্রবাসী আব্দুল মান্নান খানের স্ত্রী। কোহিনুরের কাছ থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ধার নেন নাজমা আক্তার।
দীর্ঘদিন ধরে টাকা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ২২ অগাস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাজমার বাড়িতে টাকার চাইতে যান কোহিনুর।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমা ও তাদের বাড়ির রফিক ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কোহিনুরকে হত্যা করেন।
এ ঘটনার পরদিন চাঁদপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন কোহিনুর বেগমের আপন ভাই আবদুল মালেক মোহন।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন এসআই মো. মাসুদ রানা শামীম।
১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাদের দুইজনকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রনজিত বলেন, ঘটনার পরপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আসামিরা জামিনে বেরিয়ে পলাতক রয়েছেন।
কোহিনুর বেগমের বোন বিউটি বেগম বলেন, “বোনকে তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমার পরিবার ও বোনের স্বামী এবং সন্তানরা সন্তুষ্ট।”