১৫ দিনের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের সমন্বয়ক।
Published : 04 Feb 2025, 08:08 PM
পঞ্চগড় সদরসহ পাঁচ উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ১৬৯ পদের বিপরীতে মাত্র ৪৫ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। এতে সেবা বঞ্চিত ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কয়েক লাখ মানুষ।
চিকিৎসক সংকট নিরসনসহ নয় দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন একদল তরুণ।
খবর পেয়ে দুপুরের পর পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী ও সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। এ সময় তারা সংকট নিরসনের আশ্বাস দেন।
‘সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের’ আয়োজনে এ কর্মসূচিতে জেলার স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন এবং বৈষম্য নিরসনে নয় দফা দাবি তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা।
দাবিগুলো হলো- ১৫ দিনের মধ্যে জেলার সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক শূন্যপদ পূরণ ও পদায়ন নিশ্চিত করা। স্থানীয় চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চগড়ে পদায়ন। বিভাগীয় শহর ও উন্নত জেলা থেকে চিকিৎসক বদলি করে পঞ্চগড়ে পদায়ন।
২৫০ শয্যার নতুন সদর হাসপাতাল দ্রুত চালু করা। পাঁচ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সুবিধা নিশ্চিত করা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অপারেশন থিয়েটার চালু করা। সরকারি হাসপাতালের খাবারের মান উন্নয়ন।
হাসপাতালের আউটডোর ও ওয়ার্ডগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা। বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাব পরিদর্শন করে দক্ষ জনবল নিশ্চিত এবং লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, “সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।”
সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পঞ্চগড়ে চিকিৎসক সংকট দীর্ঘদিনের। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। তরুণদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং আমরা এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করছি।”
সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের সমন্বয়ক আহসান হাবিব সরকার বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।