যশোর-৪৯ বিজিবির আন্দুলিয়া কোম্পানি কমান্ডার বলেন, “সীমান্ত এলাকা সুরক্ষা রাখতে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে মাইকিং করেছি, কাঁটাতারের আশপাশে যেতেও সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।”
Published : 13 Jun 2024, 11:20 PM
যশোরের চৌগাছা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা ‘গুলি চালাতে পারে’, তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের কাঁটাতারের কাছে না যেতে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবিবর রহমানের পক্ষ থেকে দৌলতপুর, কুলিয়া, আন্দুলিয়া, আড়শিংড়ি পুকুরিয়াসহ ৪৯ বিজিবির অধীন এলাকায় এই মাইকিং করা হয়।
সেখানে বলা হয়, বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তের নিকটবর্তী বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে জনগণকে সীমান্ত এলাকায় না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
বুধবার একইভাবে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল সীমান্ত এলাকায়ও মাইকিং করা হয়।
আন্দুলিয়া, কুলিয়া ও দৌলতপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, এলাকায় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ সীমান্ত এলাকায় চলাফেরা না করতে জোর অনুরোধ করেছেন। তারা সীমান্তে না যেতে মোড়ে মোড়ে মাইকিং করেছেন।
সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবিবর রহমান বলেন, “বিজিবি আন্দুলিয়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল গণির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তবর্তী কাঁটাতারের আশপাশে গরু-ছাগল কিংবা কৃষিকাজের জন্য কেউ যেন না যায়। এরপরই ইউনিয়নের প্রতিটা ওয়ার্ডের সদস্যদের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশ দিয়ে মাইকিং করে সর্বসাধারণকে জানানো হয়েছে।”
যশোর-৪৯ বিজিবির আন্দুলিয়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল গণি বলেন, “কোরবানি ঈদ সামনে রেখে সীমান্তে মানুষের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। এদিকে আমাদের পাশেই মহেশপুর সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীরা বিএসএফ সদস্যকে কুপিয়েছে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।
“এজন্য আমার সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মাইকিং করেছি, যেন বেসামরিক লোক পরবর্তী সময়ে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় না যায়। তাদের কাঁটাতারের আশপাশে যেতেও সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে”, বলেন কমান্ডার।