সংযোগ সড়ক নেই, অকেজো কোটি টাকার সেতু

২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটি নির্মাণের কথা থাকলেও ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মূল অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2023, 02:26 PM
Updated : 8 Dec 2023, 02:26 PM

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে; তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেটি দুই বছর ধরে অকেজো পড়ে আছে।

ব্রিজটি সচল করতে আরও সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রসারণ ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ সম্প্রতি নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি)।

চৌহালী উপজেলা এলজিইডি অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ এবং চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও উমারপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য বিনাইন মরা নদীতে ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

তারই প্রেক্ষিতে বৃহত্তর ‘পাবনা ও বগুড়া গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ব্রিজটি নির্মাণে ২ কোটি ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৫০ টাকা ব্যয় ধরা হয়।

পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘র‌্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেডের’ সঙ্গে ৫২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণে ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

ওই চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটি নির্মাণের কথা থাকলেও ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মূল অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়। কিন্তু ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়নি।

বিনানই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী ও শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, “নদীর প্রস্থের তুলনায় ব্রিজটির দৈর্ঘ্য অনেক ছোট। এক বছরের প্রকল্প পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। দুইপাশে সংযোগ না হওয়ায় ব্রিজটি আসলে কোনো কাজে আসছে না।”

বাঘুটিয়া গ্রামের কৃষক রহমত আলী বলেন, “ব্রিজটি চলাচল উপযোগী হলে এ অঞ্চলের কৃষকরা উৎপাদিত ফসল পরিবহন করে বড় বড় হাট বাজারে নিয়ে কাঙ্খিত দামে বিক্রি করতে পারবে। এতে আমরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হব।”

একই কথা জানান ওই এলাকার ইসহাক শেখ ও সুজাবত আলী।

চৌহালী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ব্রিজটি ‘ভুল করে’ ছোট আকারে নির্মাণ করা হয়েছিল। এর একপাশে আরও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। বর্তমান যা অবস্থা, তাতে সংযোগ সড়ক বানালেও টেকসই হবে না। এ কারণে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাজেট স্বল্পতার কারণে হয়তো ব্রিজটি ছোট আকারে বানানো হয়েছিল। পরে আরও ৫২ মিটার সম্প্রসারণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।”

ইতোমধ্যেই এ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।