পুলিশ তিনটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Published : 13 Jun 2024, 01:38 AM
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কোরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ ৮ জন আহতের দাবি করা হচ্ছে। পরে পুলিশ তিনটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার বিকালে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মজুমদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই মাসুদ রানা, কনস্টেবল মনির হোসেন ও সোলায়মান হোসেনকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত হাটুরে লোকজন গোপনে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাৎক্ষণিক তাদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকালে মজুমদার হাটে নিয়মিত বাজার বসে। আসন্ন ঈদুল আজাহা উপলক্ষে বুধবার ওই বাজারের পাশে পরিত্যক্ত জমিতে পশুর হাট বাসানো হয়। কিন্তু হাটটি অবৈধভাবে বসানো হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ হাটটি পণ্ড করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে হাটের ইজারাদার ও হাটুরে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে হাট ইজারাদার ও হাটুরে লোকজনের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ শর্টগানের তিনটি ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই হাটে গরু কিনতে আসা সুজন মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, পুলিশ অন্যায় ভাবে প্রবেশ করে পশুর হাট পণ্ড করে দেয়। এতে করে অনেকের গরু-ছাগল হারিয়ে যায়। আবার অনেকের টাকা পয়সা ও হাতে থাকা মোবাইল ফোন খোয়া গেছে।
হাট ইাজারাদার ওবায়দুল ইসলাম জানান, পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ নাই। এছাড়া কেন পশুর হাট বসানো যাবে না? সেই মর্মে হাই কোর্টের একটি লিগ্যাল নোটিস উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপরও বেআইনিভাবে পশুর হাট পণ্ড করে দেয় পুলিশ।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম জানান, অনলাইন সেবা ৯৯৯ তে এবিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করেন। এ কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ বাজারে পশুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু হাট ইজারাদার ও হাটুরে লোকজন পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে।
এক পর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি করেন।
হাই কোর্টের লিগ্যাল নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “নোটিসটি গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপির মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মতামত পাওয়ার আগেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”