ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলা পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
Published : 17 Jul 2024, 07:59 PM
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মাদারীপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বুধবার সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে শহরের মস্তফাপুর এলাকায় এ ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থী আহতের খবর পাওয়া গেছে।
কোটা বিরোধীরা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর সদর থানার ওসি এ এইচ এম সালাউদ্দিন।
শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল এবং কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভ মিছিল শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে শহর থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগের একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী আবু হুরায়রা বলেন, “আমরা ন্যায় সঙ্গত দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। সেখানে ছাত্রলীগের নেতারা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে।”
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ হাওলাদার বলেন, “মাদারীপুরে কোটা আন্দোলনকারীরা সাধারণ শিক্ষার্থী না, এরা ‘জামায়াত-শিবিরের’ সদস্য। তারা আন্দোলন নামে অশান্তি সৃষ্টি করতে নেমেছে।”
মাদারীপুরের মাটিতে কোনো অশুভ শক্তিকে নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রলীগের এ নেতা।
ওসি সালাউদ্দিন বলেন, “সকালে কোটাবিরোধীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে জড়ো হয়। এ সময় পাশ দিয়ে ছাত্রলীগের একটি মিছিল গেলে একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।”
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে সোমবার হঠাৎ করেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত ও সহিংসতা হয়।
রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। চট্টগ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন তিনজন; যাদের মধ্যে একজন দোকান কর্মচারী, একজন ছাত্রদল নেতা এবং অপরজন ছাত্র।
এ ছাড়া ঢাকায় সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় সংঘর্ষে নিহত দুইজনের একজন ফুটপাতের দোকানি ও অপরজন ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ আলী।