লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মজুচৌধুরী লঞ্চঘাট থেকে ভোলাগামী যাত্রীরা ট্রলার ও স্পিডবোটে করে ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন। প্রতি ঈদেই এ রুটে যাত্রীদের চাপ দেখা যায়।
Published : 08 Jul 2022, 02:20 PM
মেঘনা নদী হয়ে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌরুট দিয়ে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সহজ যোগাযোগ মাধ্যম। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ লঞ্চঘাট দিয়ে অন্তত দুই শতাধিক যাত্রীকে ভোলার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে দেখা গেছে।
মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে দায়িত্বরত কোস্টগার্ড সদস্য মো. আকাশ সাংবাদিকদের জানান, স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে প্রতিবছর হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়েই ট্রলার ও স্পিডবোটে করে এ রুট দিয়ে মেঘনা পাড়ি দেয়। ট্রলারে প্রতি যাত্রী থেকে ৫০০ টাকা ও স্পিডবোটে ১ হাজার টাকা করে ভাড়া নেন মালিকরা। এতে প্রাণের ঝুঁকি থাকলেও কোন পক্ষই তোয়াক্কা করে না।
তিনি আরও বলেন, “মজুচৌধুরীর হাট থেকে ভোলা যেতে বিভিন্ন সময় ছোট ও মাঝারি লঞ্চ ছেড়ে যায়। এছাড়া ফেরিতেও যাত্রী পারাপারে সুবিধা রয়েছে। এতে লঞ্চের ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা নেওয়া হলেও দ্রুত যাওয়ার জন্য মানুষ বাড়তি টাকা দিয়ে ট্রলার ও স্পিডবোটে যাতায়াত করে। ট্রলার ও স্পিডবোটে যাতায়াত সরকারিভাবে নিষেধ রয়েছে। তারপরও প্রশাসনের অগোচরেই একটি চক্র ট্রলার ও স্পিডবোটে নদী পারাপার করে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্পিডবোট ও ট্রলারে যাতায়াত প্রকাশ্যেই হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যেকোন সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া অধিকাংশ সময় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ মেঘনা নদী পাড়ি দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করে বিষয়টি লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনকে বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।