বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে জেলা পুলিশ সুপারের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে।
নিহত মো.হাসিবুল বাশার (২২)ওই ইউনিয়নে কোটরা মহাব্বতপুর গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে। তিনি উপজেলার ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সদস্য ছিলেন বলে জানান ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ ‘মিডিয়া সেল’ নামের একটি ফেইসবুক গ্রুপে সংবাদকর্মীদের তথ্য সরবরাহ করে থাকে।
জেলা পুলিশ সুপারের মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়, দলীয় কোন্দলের জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাত থেকে আটজন `ছাত্রলীগ কর্মী' ছুরি দিয়ে হাসিবুল বাশারের মাথা ও গলায় আঘাত করে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ও জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে বলে মিডিয়া সেলে জানানো হয়।
তবে হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে দাবি করছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী।
রাহাত চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এরা আগে বিএনপি করতেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ছাত্রলীগে এদের কোনো পদ-পদবী নেই। এরা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী। কয়েকদিন আগেও তারা একজনের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।”
হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।