সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
Published : 17 Jun 2022, 12:10 AM
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ স্পেশাল ট্রাইবুনাল ৩-এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালত ৪৯ আসামির মধ্যে ৪০ জনের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বৃহস্পতিবার দুপুরে।
আসামিদের মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব রয়েছেন।
আদালতের পিপি আবদুল লতিফ জানান, আদালত আগামী ২৯ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করে দিয়েছে।
২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন।
সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে রাস্তার ওপর প্রতিরোধ সৃষ্টি করে হামলা চালানো হয়।
হামলায় তৎকালীন সাতক্ষীরা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, সাংবাদিকসহ ডজন খানেক নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ দেন। মামলায় ১৮ জনকে সাক্ষী করা হয়।
বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম নতুন করে শুরুর নির্দেশ দেয়।
২০১৫ সালের ১৭ মে কলারোয়া থানার পরিদর্শক শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে তিনটি মামলা হয়। এক মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্রে উল্লিখিত ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা দেয় আদালত।
অন্য দুটি মামলা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।
পিপি লতিফ বলেন, “অস্ত্র আইনের মামলাটি আমরা আদালতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছি। শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার সময় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।”
তিনি জানান, পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে ৫০ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। নয়জন পলাতক রয়েছেন। বাকি ৪০ আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এমএ মজিদ আদালতে আসামিপক্ষের কথা উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, “আদালত উভয়পক্ষের কথা শুনেছেন। আমরা ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করি।”