কক্সবাজারে অস্ত্র-গুলিসহ ‘সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের’ ছয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
Published : 16 Apr 2022, 07:30 PM
তারা দীর্ঘদিন ধরে নিন্ম-আয়ের বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের উচ্চবেতনে চাকরির প্রলোভন দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচার করে আসছিলেন বলে র্যাবের ভাষ্য।
তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও দালাল চক্রের কাছে নারীদের বিক্রির তথ্য দিয়েছে র্যাব।
র্যাব ১৫-এর অতিরিক্ত অধিনায়ক মেজর শেখ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, শনিবার ভোরে খবর পেয়ে তারা কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা এলাকায় অভিযান চালান। তখন সন্দেহজনক লোকজন ট্রলারসহ গভীর সাগরে পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া দিয়ে ট্রলারটি জব্দ করতে সক্ষম হন র্যাব সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন জেলার মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহীপাড়ার গোলাম কুদ্দুসের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৭), কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা পূর্বপাড়ার নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. পারভেজ (২৩), একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল মজিদ (২৭), ফজল করিমের ছেলে আমির মো. ফয়সাল (২৪), আমির হোসেনের ছেলে মো. শাকের (৩০) ও মো. মীর কাশেমের ছেলে মো. রফিক আলম (৩৫)।
র্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ আটককৃতদের স্বীকারোক্তির বরাতে বলেন, “তারা সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত।
তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে পাচারের সময় নারীদের ধর্ষণ ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ।
তিনি আরও জানান, পাচারকারীরা নারীদের কাউকে কাউকে দালালদের কাছে বিক্রি করে দেন। আটক ছয়জন এ পর্যন্ত ৩৭ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারীকে মিয়ানমারে বিক্রি করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
তাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মেজর শেখ মোহাম্মদ ইউসুফ।