জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদীনের এ রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ লাভলু জানিয়েছেন।
মামুনুর রশীদ লাভলু বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ১৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগ গঠনের সময় সোহাগ মেম্বারের নাম বাদ দিয়ে ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ৯ জন জেল হাজতে রয়েছে এবং ৪ জন পলাতক।
“এই মামলায় বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণসহ মামলার সকল কার্যক্রম শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা বসতঘরে ঢুকে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। এ সময় মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে তারা, যা ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর হামলার ভয়ে আত্মগোপনে থাকা ওই নারীকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
পরবর্তীতে দেলওয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।
গত ৪ অক্টোবর ধর্ষণ মামলায় রায়ে দেলোয়ার ও তার সহযোগী আবুল কালামকে যাব্বজীবন করাদণ্ড দেয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১।