ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কারণে মানুষের ভোগান্তি আগামী বর্ষায় থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Published : 03 Sep 2021, 07:53 PM
শুক্রবার সকালে গাজীপুরের টঙ্গীর চেরেগালী এলাকায় বিআরটি প্রকল্পের চলমান কাজ পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বিআরটি প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ২৭ শতাংশ জানিয়ে তিনি বলেন, বিআরটি প্রকল্পের কাজের জন্য গাজীপুরসহ উত্তরবঙ্গের মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। এখানে তাদের অনেক সমস্যা হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ রাস্তায় কষ্ট করেছেন।
“আশা করি, এ সড়কে আগামী বর্ষাকালে মানুষের ভোগান্তি আর হবে না। এ বর্ষাকালটাই হবে ভোগান্তির শেষ বর্ষাকাল। আগামী বর্ষায় গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আর ভোগান্তি থাকবে না, এ ভোগান্তির দিনগুলো অবসান হবে।”
যেকোনো নির্মাণ কাজের যন্ত্রণা আছে উল্লেখ করে সাময়িক এ যন্ত্রণা সবাইকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুর থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত চলমান বিআরটি প্রকল্পটি জনগণের জন্য অনেক বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির কারণ হয়েছে। এখানে সড়কের পাশে ড্রেনেজ সিস্টেমটি অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়েছে, যে কারণে বর্ষাকালে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
গাজীপুর থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কে এ ভোগান্তি একটু বেশি বলে তিনি স্বীকার করেন।
সেতু মন্ত্রী বলেন, “আমরা আশা করছি অনেক আকাঙ্ক্ষিত বহুল প্রত্যাশিত মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, চট্টগামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেলের সঙ্গে আগামী বছর ডিসেম্বরে বিআরটিও প্রধানমন্ত্রী শুভ উদ্বোধন করতে পারবেন। আমরা সেই প্রতীক্ষায় আছি।”
বিআরটি চালু হওয়ার পর এই মহাসড়কে দুই পাশে প্রতিঘণ্টায় ২০ হাজার যাত্রী যাতায়ত করবে এবং ৩৫ মিনিটে গাজীপুর থেকে ঢাকায় পৌঁছানো যাবে বলে জানান মন্ত্রী।
এই প্রকল্প ত্রুটিপূর্ণ কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “এডিবি বারবার এই প্রজেক্ট পরিদর্শন করেছে। ডিজাইনের কোনো ত্রুটি থাকলে এডিবি অর্থায়ন করত না। কাজটা শেষ হয়ে গেলে সব প্রশ্নের অবসান হবে।”
এ সময় তার সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের (মহাসড়ক বিভাগ) সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটির পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ঢাকা সার্কেল) মো. আতাউর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. জাকির হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।