তাদের আটজনের পজেটিভ আর অন্যরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ১৩ জন, চাঁপাইনবাগঞ্জের একজন আর নওগাঁর রয়েছেন চারজন।
তাদের চারজন আইসিইউতে ছিলেন।
শামীম ইয়াজদানী বলেন, ১৮ জনের মধ্যে দশজন পুরুষ ও আটজন নারী। ছয়জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। অন্যদের মধ্যে আছেন ৫১ থেকে ৬০ বছরের পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের তিনজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের চারজন।
গত ১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত এ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান শামীম ইয়াজদানী।
রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজশাহীর ২৭২ জন আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের রয়েছেন ৫৯ জন। তাছাড়া নাটোরের ২৬ জন, নওগাঁর ৩২ জন, পাবনার ১০ জন আর অন্যরা অন্যান্য জেলার। তাদের মধ্যে আইউসিইউতে আছেন ১৮ জন।
শনাক্তের হার সম্পর্কে শামীম ইয়াজদানী বলেন, শনাক্তের হার আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৯০ শতাংশ-পয়েন্ট বেড়ে ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ হয়েছে।
গত ১১ জুন থেকে রাজশাহী শহরে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। পরে তা আরও সাতদিন বাড়ানো হয়। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার রাত ১২টায়। কিন্তু সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার না কমায় লকডাউন আরও সাত দিন বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে জেলার ডিসি আব্দুল জলিল সংবাদ সম্মেলন করে লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দেন।