রোববার দুপুরে ভালুকা হাজির বাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম সাফেরুজ্জামান বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন, ৬ নম্বর ভালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিহাব আমীন খান, তার ম্যানেজার সুরুজ মিয়া ও খলিলুর রহমান খান। এ ছাড়াও অজ্ঞান নামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বনের গাছ চুরির অভিযোগে চেয়ারম্যান শিহাব আমিন খান ও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার বাদী সাফেরুজ্জামান বলেন, গত ১১ মে রাতে মেহরাবাড়ি মৌজার ১৫০ নম্বর দাগ থেকে শিহাব আমীন খানের নেতৃত্বে তার ম্যানেজার সুরুজ মিয়া এবং খলিলুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জন সরকারি বন ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে ৮টি আকাশমনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বন বিভাগের লোকজন সেই কাঠ জব্দ করে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৩ মে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করা হলে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আমীন বলেন, বিভিন্ন সময় প্রভাবশালীদের স্বার্থে আঘাত লাগলে বন কর্মকর্তাদেরও নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হতে হয়, তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে দায়িত্বটুকু সর্বোচ্চ পালন করার।
তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান ও তার লোকজন অন্যায় করছে তাই মামলা হয়েছে। সেটি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সমাধান হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব আমীন খান বলেন, “কিছুদিন আগে বনের জমির পাশে পুকুর করে মাটি আমার জায়গায় ফেলা হয়। বন কর্মকর্তারা তাদের জায়গায় মাটি ফেলা হয়েছে বলে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।”