স্পিডবোট দুর্ঘটনা: ঘটনাস্থলে তদন্ত কমিটি

মাদারীপুরের শিবচরে বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহতের ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2021, 09:38 AM
Updated : 5 May 2021, 09:38 AM

বুধবার ১২টার দিকে তদন্ত কমিটির ছয় সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতক্ষদর্শীদের বক্তব্য শুনেন।

এর আগে সোমবার (৩ মে) মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক আজাহারুল ইসলামকে আহবায়ক করে এ কমিটি গঠন করেন।

কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশাদুজ্জামান, শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন, শিমুলিয়া বিআইডবিউটিএ'র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন, মাদারীপুর শিবচর চরজানাজাত নৌ-পুলিশ ইনচার্জ শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক ও নারায়ণগঞ্জ পাগলা বাংলাদেশ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট আশমাদুল হক।

তদন্ত কমিটির প্রধান আজাহরুল ইসলাম বলেন, “আমরা ঘটনার প্রথম দিন এ‌সে লাশগু‌লো দে‌খে‌ছি। প্রতিটি লা‌শের মাথায় প্রচন্ড আঘা‌তের চিহ্ন দেখা গেছে। এ‌তই বোঝা যায় স্পিডবোট‌টির বাল্ক‌হে‌ডের সঙ্গে সংঘর্ষ হ‌য়ে‌ছিল। আজ দ্বিতীয় বা‌রের মত ঘটনাস্থ‌লে এ‌সেছি। যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছি‌লেন তা‌দের বক্তব্য নি‌য়ে‌ছি এবং স্থির‌চিত্র ও ভি‌ডিওচিত্র সংগ্রহ করেছি।
“পু‌রো বিষয়‌টি আমরা পর্যা‌লোচনা কর‌ছি। এছাড়া ঘা‌টে বেশ কিছু অব্যবস্থাপনার নজির পে‌য়ে‌ছি, সেগু‌লো‌কে চি‌হ্নিত ক‌রে সমাধা‌নের সুপা‌রিশ কর‌বে।”

সোমবার ভোরে ঘাটে নোঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে শিমুলিয়া থেকে আসা  একটি  দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি ডুবে যায় এবং পরে ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নৌ-পুলিশের এসআই লোকমান হোসেন বাদী হয়ে শিবচর থানায় স্পিডবোটের চালক শাহ আলম, দুই মালিক চান্দু মিয়া ও রেজাউল এবং ঘাটের ইজারাদার শাহ আলম খানের নামসহ অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

এছাড়া এ ঘটনা তদন্তে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।