চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের পাঁচশ বছরের পুরানো একটি তেঁতুল গাছ এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
Published : 11 Sep 2020, 12:26 PM
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে নাচোল উপজেলার বরেন্দ্র ভূমির শুড়লা গ্রামে অবস্থিত এ গাছটি স্থানীয়দের জন্য শুধু ঐতিহ্যের নিদর্শনই নয়; তাদের পরম যত্নে গাছে এখনও ফুল ফোটে, ফল ধরে; আশ্রয় পেতে বাসা বাঁধে পাখি।
প্রাচীন তেঁতুল গাছটি দেখেতে প্রায়ই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসে শুড়লা গ্রামে।
গাছটি ‘ভৌতিক, জৈবিক, সামাজিক ও পরিবেশগত দিক থেকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ এবং ‘অতিকায় প্রচীন’ বৃক্ষ হিসেবে সংরক্ষিত উল্লেখ করে গাছ এবং পাখির বাসার কোনো ক্ষতি না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বোর্ডে।
অন্যথায় বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সতর্কতাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
তারপর থেকেই গাছটিকে প্রাচীনবৃক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করে এর দেখভালের দায়িত্ব নেয় প্রশাসন এবং গাছটির কোনোরকম ক্ষতিসাধন করা না হয় সেজন্য জনসচেতনতায় গাছে একটি বোর্ড দেয়।
তিনি বলেন, “প্রাচীন এ গাছ শুধু আমাদের এলাকার গর্বই নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্যও।”
কল্পনা বলেন, প্রায় ৩৫ বছর আগে পাশের আহুড়া গ্রাম থেকে বিয়ে করে এ গ্রামে আসেন তিনি। তারপর থেকেই তেঁতুল গাছটির দেখভাল করে আসছেন; নিজের ঘর-বাড়ির মতই পরম মমতায় প্রতিদিন গাছতলা পরিষ্কার করেন তিনি।
প্রায় পাঁচশ বছর সময় বয়ে গেলেও শুড়লা গ্রামের ৭০ বছরের কেষ্টধর বর্মণের স্মৃতিতে তেঁতুল গাছটি যেন ঠিক আগের মতই রয়েছে।
ল্যাপাল ব্যাসরা (৭৫) নামের আরেকজন বলেন, “এই তেঁতুল গাছটি আমাদের গ্রামের গর্ব। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন গাছটি দেখতে এখানে আসে। এই বৃক্ষর জন্য অনেক মানুষ এ গ্রামকে আজ চেনে।”
স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সেভ দ্য নেচার’র চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্যতম সমন্বয়ক ফয়সাল মাহমুদ বলেন, “একটি গাছ শুধু অক্সিজেনই দেয় তা নয়, একটি গাছকে ঘিরে পাখিসহ না কিটপতঙ্গ বসবাস করে; বাস্তুসংস্থান তৈরি হয়। যা পরিবেশে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে কারণে এ ধরনের সব প্রাচীন বৃক্ষ রক্ষা করা খুবই জরুরি।”