চাঁদপুরের সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১৫ দিন বয়সী এক নবজাতককে ফেলে তার মা ‘পালিয়ে গেছেন।’
Published : 08 Dec 2019, 10:51 AM
আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সুজাউদ-দৌলা রুবেল বলেন, “অপরিণত বয়সে জন্ম নেওয়া শিশুটি প্রথম দিকে অসুস্থ থাকলেও সেবা-যত্ন পেয়ে এখন বেশ সুস্থ্য।
নবজাতক ফেলে মা চলে যাওয়ার খবর পেয়ে শিশুটিকে দত্তক নিতে অনেকেই হাসপাতালে যোগাযোগ করছেন বলে জানান।
“প্রকৃত অভিভাবক শেষ পর্যন্ত না এলে নিয়ম মেনেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স মুক্তি রাণী দাস জানান, ১৫ দিন আগে এ হাসপাতালে জন্ম হয় এ শিশুটির।
“প্রসবের সময় চারদিন প্রসূতি ও নবজাতক হাসপাতালে এ সঙ্গে থাকার পর চলে যায়। তবে
ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা হওয়ায় শিশুটিকে নিয়ে আবার হাসপাতালে ভর্তি হন শিশুটির মা।”
গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের চতুর্থতলায় নারী ও শিশু ওয়ার্ডের একটি বেডে শিশুটিকে একা ফেলে রেখে চলে যান ওই মা বলে জানান তিনি।
বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনে এ সময় সেখানে ছুটে যান কর্তব্যরত নার্স কিন্তু অনেক সময় পার হলেও শিশুটির মাকে আর দেখা যায়নি বলেন নার্স মুক্তি রাণী।
“এই নিয়ে পুরো হাসপাতালে হইচই পড়ে যায়।”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তির সময় রেজিস্ট্রি খাতায় নিজের নাম ‘সাথী’ আর বাবার নাম তাজুল ইসলাম লিখেছেন। তার ঠিকানা দিয়েছেন চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রাম।
ওই ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে তার কোনো অস্তিত্ব পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, হাসপাতালে ফেলে যাওয়া শিশুটিকে দত্তক নিতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ইতিমধ্যে একজন মা তার বুকের দুধ খাওয়াতে শুরু করেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
গত তিন ধরে শিশুটির দেখাশোনা করা হাসপাতালে নার্স ও কুলসুমা বেগম নামের এক নারী ।
শিশুটিকে দেখাশোনাকারী কুলসুমা বেগম বলেন, “আমি শিশুটিকে মায়ের আদর স্নেহ দিয়ে লালন-পালন করছি। তাকে পালনের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি কিন্তু তারা কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই নবজাতককে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।