বৃহস্পতিবার রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২৮ নভেম্বর আসামি মিরুকে আদালতে হাজির হওয়ারও আদেশ দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বরখাস্ত মেয়র হালিমুল হক মিরু চোখের সমস্যা নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন বলে সাতদিনের সময় প্রার্থনা করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাতদিন পর নতুন দিন ধার্য করেছে।
আইনজীবী এন্তাজুল হক বলেন, পঞ্চমবারের মতো অভিযোগ গঠনের দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এই মামলায় আসামি ৩৮ জন। আদালতে উপস্থিত হন ৩৬ জন।
তিনি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিরু জমিন আবেদন করলে উচ্চ আদালত থেকে গত ১৭ নভেম্বর তার জামিন হয়। পরে তিনি জামিনে বের হয়ে চিসিৎকের পরামর্শে ঢাকায় চক্ষু বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে যান। ওই চিকিৎসার কাগজপত্র এনে আসামিপক্ষ আদালতে হাজির করেন।
“একজন আসামি অনুপস্থিত হলে চার্জ গঠন হয় না। এ অবস্থায় আদালত আগামী ২৮ নভেম্বর আসামি মিরুকে আদালতে হাজির হওবার আদেশ দেয়।”
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মেয়র মিরুর ভাই পিন্টু অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেয়রের বাড়ি ঘেরাও করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ওই সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে শটগানের গুলিতে মারা যান সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল।
শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম মেয়রসহ ১৮ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২২ জনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এরপর পুলিশ ৩৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। গত ১৩ জুন শাহজাদপুরের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের পর মিরুকে মেয়র পদে থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরুকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।