ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঁনতারা বেগমকে গলাকেটে হত্যার দায় তার মেয়ে তানিয়া আক্তার স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 04 Nov 2019, 12:54 PM
সোমবার সকালে জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে গত রোববার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে তানিয়া “
গত শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে চাঁনতারার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চাঁনতারার ভাই মো. জাকির হোসেন (৩৮) সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত চাঁনতারা জেলার নবীনগর উপজেলার সেমন্তঘর এলাকার মো. খলিল মিয়ার স্ত্রী।
এসপি আনিুসর রহমান জানান, খলিল মিয়া তার স্ত্রী চাঁনতারা ও তিন সন্তান নিয়ে বিরামপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার একটি পুকুরপাড়ে টিনের ঘর বানিয়ে থাকেন। গত দুই বছর ধরে খলিল-চাঁনতারার দ্বিতীয় সন্তান হাসান (১৪) নিখোঁজ রয়েছে।
“এর ফলে ছেলের জন্য মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন চাঁনতারা।”
এসপি আরও জানান, গত শনিবার ভোরে খলিল মিয়া ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যান। এ সময় চাঁনতারা বাড়ির বাইরে চলে যেতে চাইলে তানিয়া তাকে ঘরে এনে ঘুমাতে বলে। কিন্তু চাঁনতারা না ঘুমিয়ে দা এনে তানিয়াকে ‘নে আমারে মাইরালা’ বলেন।
“তখন তানিয়া রেগে গিয়ে বিরক্ত হয়ে ওই দা দিয়ে গলায় টান দেন। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যান চাঁনতারা।“
এ সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইও-১ ইমতিয়াজ আহম্মেদ, সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।