বুধবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রনি ও মিরপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম।
যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস গ্রামের ইসলাম হোসেনের ছেলে রাব্বি, খলিল ওরফে নেংড়া খলিলের ছেলে রফিক ও কুমারগাড়া গ্রামের আব্দুর আজিজের ছেলে সুজা।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি বিচারক প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন; অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আসামিদের মধ্যে শুধু রনি রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সকালে কুষ্টিয়া টিটিসির নবম শ্রেণির ছাত্র সোহাগ মোটর সাইকেল নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। দুইদিন পর ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন একটি মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোহাগের খালু শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা করেন।
সিআইডি মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোপত্র দাকিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।