শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট ফাঁকা

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঈদে বাড়িমুখো মানুষের গাড়ি এবার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না; বরং গাড়ির জন্য ফেরিগুলো যেন ঘাটে অপেক্ষা করছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2019, 06:08 PM
Updated : 3 June 2019, 06:08 PM

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আব্দুল আলীম জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যাত্রীরা চলাচল করে। সোমবার এ রুটে ১৮টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও পাঁচ শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করেছে।

তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে এ ঘাটে যাত্রীদের নানারকম ভোগান্তি পোহাতে হতো; কিন্তু চ্যানেলে ঠিকমত চলতে পারায় রো রো ফেরিসহ ১৮টি ফেরি চলাচল করায় ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীরা তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়ছে না।

তাছাড়া প্রশাসনও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যা যানবাহনকে দ্রুত ফেরি পারাপারে ভূমিকা রাখছে বলে তিনি জানান।

আব্দুল আলীম আরও বলেন, “সকাল থেকে মোটরসাইকেলসহ অন্তত তিন হাজার যান পারাপার করা হয়েছে। ফেরির জন্য ঘাটে এক পিস গাড়িও অপেক্ষা করছে না; বরং গাড়ির জন্য এ মুহূর্তে পাঁচটি ফেরি ঘাটে অপেক্ষা করছে। যাত্রীরা আনন্দের সাথে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছে।”

ঈদের আর মাত্র ১/২ দিন বাকি; কিন্তু সোমবার বিকালেও ফাঁকা শিমুলিয়া ঘাট। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটে ঈদের আরও আগে থেকেই থাকে উপচেপড়া ভিড় থকে অন্যান্যবার। কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন। দিনভর ঘাটে প্রাইভেট কার ও মটর সাইকেলেও কিছু চাপ থাকলেও বড় গাড়ির সংখ্যা ছিল একেবারেই কম।

সোমবার শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ঘাটেই ফেরির জন্য যানবাহন অপেক্ষায় নেই। বরং ফেরিই অপেক্ষা করছে যানবাহনের জন্য। যে গাড়ি আসছে সাথে সাথে সেটি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। ফেরি ঘাটের পাকিং ইয়ার্ডগুলো একেবারেই ফাঁকা রয়েছে। পার্কিং ইয়ার্ডগুলোতে ট্রাক ও কভ্যার্ডভ্যান রয়েছে, সেগুলোই ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে।

ঈদের কদিন আগে থেকেই ট্রাক পারাপার বন্ধ করার ঘোষণা থাকলেও ছোট গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাস কম থাকায় ট্রাক ও কভ্যার্ডভ্যান পারাপার করা হচ্ছে ফেরিতে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, “এ নৌ রুটে চলাচলরত যাত্রীরা কোনো প্রকার হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার যাতে না হয়, সেজন্য ঘাটের প্রত্যেক পয়েন্টে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন। কোনো নৌযান ও পরিবহন যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে পারে সেদিকে আমরা নজর রাখছি।”

এখন পর্যন্ত যাত্রী ও যানবাহনের তেমন কোনো চাপ না থাকায় কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রী নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে বলে জানান তিনি।