সুবর্ণচরে ধর্ষণে আরও স্বীকারোক্তি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের রাতে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আরেকজন।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2019, 01:28 PM
Updated : 12 Jan 2019, 01:36 PM

শনিবার বিকালে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শোয়েব উদ্দিন খান গ্রেপ্তার হেঞ্জু মাঝির (২৯) জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

হেঞ্জু মাঝি সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যবাগ্যা গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।

এ নিয়ে এই মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে সাত জন স্বীকারোক্তিমূলক জবাদনবন্দি দিলেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবুল খায়ের বলেন, শুক্রবার ভোরে জেলা কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে এই ঘটনায় জড়িত হেঞ্জু মাঝিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

“এরপর জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবাদনবন্দি দিতে রাজি হলে শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।”

ওসি বলেন, পুলিশের তদন্ত, ভুক্তভোগী এবং ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার আসামিদের জবাদবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে তার নাম উঠে আসে। ঘটনার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী বাসে চালকের সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেয়।

তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে তিনি জানান।

গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়।

ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় রুহুল আমিনসহ এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।