বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহ তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরা হলেন এজাহারের ৩ নম্বর আসামি মো. স্বপন ও ৫ নম্বর আসামি ইব্রাহিম খলিল বেচু।
এ নিয়ে এই মামলায় ছয় জন আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন। এর আগে মুরাদ, আবুল, মো. সোহেল ও জসিম উদ্দিন জবানবন্দি দেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এ পর্যন্ত সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনসহ ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, স্বপন ও বেচুসহ মামলার সাত আসামিকে সোমবার থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে ডিবি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছিল।
“চতুর্থ দিনে আজ (বৃহস্পতিবার) তারা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হন। দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। ২ নম্বর আমলী আদঅলতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহ তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।”
এই মামলার আরেক আসামি মুরাদের সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত পাঁচ দিন মঞ্জুর করে বলে জাকির হোসেন জানান।