বুধবার সন্ধ্যায় জেলার ২ নম্বর আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহ তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরা হলেন মো. সোহেল ও জসিম উদ্দিন। এ নিয়ে চার জন স্বীকারোক্তি দিলেন।
গত সোমবার একই আদালতে স্বীকারোক্তি দেন দুই আসামি ছালাউদ্দিন ও আবুল হোসেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি আবুল খায়ের বলেন, গত রোববার এ মামলার সাত আসামি বাদশা আলম বাসু, রুহুল আমিন, জসিম উদ্দিন, হাসান আলী ভুলু, মো. সোহেল, স্বপন ও বেচুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আদেশ দেয় আদালত।
“রিমান্ডের তৃতীয় দিন মো. সোহেল ও জসিম উদ্দিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। সন্ধ্যায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহ তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।”
বৃহস্পতিবার মামলার অপর আসামি মুরাদ মিয়ার রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে ওসি আবুল খায়ের জানান।
চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এ পর্যন্ত সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনসহ ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার রাতে ওই নারীকে দেখতে নোয়াখালী জেরারেল হাসপাতালে গিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
তারা ঘটনার ইন্ধনদাতাসহ জড়িতদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার ও সর্বেচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
ভুক্তভোগীর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে প্রয়োজনে দলীয় খরচে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেন তারা।