সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও হকারমুক্ত ফুটপাতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
Published : 25 Jul 2018, 05:20 PM
বুধবার দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে কামরান তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
সিলেট নগরীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও আধুনিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা ছাড়াও নতুন কর আরোপ ছাড়াই নগরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন কামরান।
তাছাড়া কামরানের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে নগরীর ফুটপাত হকারমুক্ত ও উচ্ছেদকৃত হকারদের পুনর্বাসনের জন্য চারটি হাকার্স মার্কেট প্রতিষ্ঠা, দখল হওয়া ছড়া-খাল উদ্ধার ও খনন করে জলাবদ্ধতা নিরসন এবং প্রতিটি ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা।
সেইসঙ্গে সিলেটকে প্রথম ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে কামরান তার ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেন।
নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশ্বমানের হাসপাতল ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা, প্রতিমাসে ওয়ার্ডভিত্তিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন, নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও যানজটমুক্ত সিলেট নগরীর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উঠে এসেছে কামরানের ইশতেহারে।
নতুন গ্যাস সংযোগ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, নারীদের জন্য আলাদা পরিবহন, টেমসের আদলে সুরমা নদীর দুইপাড় আধুনিকায়ন, শিশু সুরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধসহ উন্নয়নের ৩৩ প্রতিশ্রুতি রয়েছে কামরানের নির্বাচনী ইশতেহারে।
ইশহেতার ঘোষণার সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের দুইবারের নির্বাচিত মেয়র কামরান বলেন, “এটিই হয়ত আমার শেষ নির্বাচন হতে পারে। সিলেটবাসী আমাকে বার বার ভোট দিয়েছেন। তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিয়ে শেষ করার মতো নয়। তবু আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।
“এবারও সিলেটবাসী আমাকে নির্বাচিত করলে আমি তাদের ভালোবাসার সর্বোচ্চ প্রতিদানের চেষ্টা করব। নাগরিক জীবন যাতে আরও সুন্দর ও স্বচ্ছন্দ হয়, আমি তাই করব।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও আহমদ হোসেন, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আসাদ উদ্দিনসহ সিলেট জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।