ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরির ব্যবস্থাপক এমরান খাঁন জানান, এ রুটে তিনটি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছিল। কিন্তু দুই দিন আগে ফেরি ‘কৃষাণী’ বিকল হয়ে পড়ে। তাই ভোলা ও লক্ষ্মীপুর এলাকার দুই পাড়ে বহু যানবাহন আটকা পড়েছে।
“২-৩ দিনের মধ্যে সেটি সচল হয়ে গেলে যানজট কিছুটা কমে যাবে।”
এ রুটে অন্তত চারটি ফেরির প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এ রুটে তিনটি ফেরি কলমীলতা, কৃষাণী ও কনকচাঁপা নিয়মিত চলাচল করে।
রোববার ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বিকাল পর্যন্ত ফেরিঘাটে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। এর অধিকাংশ ট্রাকে ছিল বিভিন্ন পণ্য। এছাড়া যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনও ছিল।
ট্রাকের চালক ও হেলপাররা গত প্রায় ৫-৬ দিন ধরে ইলিশা ফেরিঘাটে অবস্থান করে স্থানীয় কয়েকটি হোটেলে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের এ ফেরি সার্ভিস।
ইলিশা ফেরিঘাটে অপেক্ষমান ট্রাক চালক মো. নাসিরউদ্দিন বলেন, তিনি বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ফেনী থেকে ভোলার বোরহানউদ্দিনে আসেন। ফেরির দেখা না মেলায় প্রায় ছয় দিন ধরে তিনি ইলিশা ফেরিঘাটে অবস্থান করছেন।
ভোলা সদর উপজেলার ট্রাকচালক রুৎফর রহমান বলেন, তিনি ভোলার দৌলতখান উপজেলা থেকে ভাঙা টিন নিয়ে ফেনীর উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে। ফেরি সংকটনের কারণে প্রায় চার দিন ধরে ইলিশার ফেরিঘাটে আটকা রয়েছেন।
ট্রাকচাল রফিকুল ইসলামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও।
তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও থেকে আলু নিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি বোরহানউদ্দিন ও লালমোহনে এসেছিলেন। কিন্তু ফেরির অপেক্ষায় ওই দিন সন্ধ্যা থেকে ফেরিঘাটে অবস্থান করছেন।