নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিচারের জন্য ডেকে নিয়ে নারীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণসহ মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে; এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
Published : 06 Oct 2017, 11:43 AM
চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন জানান, চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের ২৬ বছর বয়সী এক নারী।
ওই নারীর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের বেশ কিছু চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আর ধর্ষণের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। সেখানে তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, তার একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। চার-পাঁচ বছর ধরে স্বামী তার খোঁজখবর নেন না। স্বামী কোথায় আছেন তাও তিনি জানেন না। সম্প্রতি হাতিয়া উপজেলার নঙ্গলিয়া গ্রামের রবিউল হোসেন নামে এক তরুণের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
“শুরুতে রবিউল নিজেকে অবিবাহিত বললেও সম্প্রতি জানতে পারি তিনি বিবাহিত। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার কিছুদিন পর বুধবার তিনি আমাদের বাড়িতে আসেন। বিষয়টি চেয়ারম্যান মোজাম্মেলকে জানানো হয়।”
রাত ১০টার দিকে চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে রবিউল ও ওই নারীসহ কয়েকজনকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এ সময় চেয়ারম্যান আমাকে গালাগাল করেন আর রবিউলকে মারধর করেন।
“পরে আমাকে একটি কক্ষে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেব বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমাকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
পরিদর্শক ইকবাল বলেন, মামলার আসামি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পলাতক। অপর আসামি রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।