মংলা বন্দর চ্যানেলের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় এক হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে কোস্টারডুবির পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি।
Published : 15 Jan 2017, 11:46 AM
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ডুবে যাওয়া কোস্টার এমভি আইজগাতির অবস্থান চ্যানেলের বাইরে হওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না।
যশোরের প্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া ট্রেডার্সের আমদানি করা কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে শুক্রবার দুর্ঘটনায় পড়ে এমভি আইজগাঁতি। হিরণপয়েন্টের ২৫ কিলোমিটার দূরে একটি ডুবো চরে ধাক্কা লেগে সেটি ডুবে যায়।
ওই সময় আরেকটি কোস্টারের সাহায্যে আইজগাঁতির ১২ জন নাবিক ও চারজন নিরাপত্তা কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. ওয়ালিউল্লাহ জানান, শনিবার দুপুরে নৌযানটির অবস্থান সনাক্তের পর সেটি উদ্ধারের জন্য তারা নওয়াপাড়া ট্রেডার্সকে চিঠি দিয়েছেন।
“কোস্টারটি ফেয়ারওয়ের পশ্চিমপাশে রয়েছে। পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে আসা যাওয়ায় সমস্যা না হলেও চ্যানেল ঠিক রাখতে ডুবে যাওয়া কোস্টারটি তুলে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
নওয়াপাড়া ট্রেডার্সের বরাত দিয়ে ওয়ালিউল্লাহ জানান, কোস্টারটি উদ্ধারে চট্টগ্রামের একটি স্যালভেজ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কোস্টার উদ্ধারে ব্যার্থ হলে বন্দর কর্তৃপক্ষকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওয়াপাড়া ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান জনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজে নিয়োজিত স্থানীয় প্রতিষ্ঠান (স্টিভেডোর) মেসার্স নুরু অ্যান্ড সন্সের সত্ত্বাধিকারী এইচ এম দুলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুর্ঘটনায় পড়া কোস্টারটি প্রায় ৩০০ ফুট পানির নিচে রয়েছে।
সক্ষম উদ্ধারকারী জাহাজ কাজ শুরু করলে কোস্টারটি টেনে তুলতে ৩০ থেকে ৪০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
খুলনা বিশবিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলীপ কুমার দত্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোস্টারটি সুন্দরবনের অনেকটা বাইরে। তবে জোয়ারের টানে সুন্দরবনের নদীখালে কয়লাগুলো চলে আসতে পারে।”
২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শেলা নদীতে ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ নামে একটি অয়েল ট্যাঙ্কার ডুবে বিস্তীর্ণ এলাকায় তেল ছড়িয়ে ব্যাপক দূষণের শঙ্কা তৈরি হয়।
ওই সময় থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন সুন্দরবনের ওই নৌপথটিতে যান চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।