এক ঘণ্টায় আড়াই লাখ চারা লাগিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলাবাসী।
Published : 01 Sep 2016, 07:34 PM
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার ৪৬০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৫৩টি রাস্তার পাশে চারা লাগানো হয় বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিলুফা সুলতানা।
এর আগে সকাল ৭টায় উপজেলা পরিষদের সামনে ফিতা কেটে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ। সেখানে জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও জিলুফা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চারা রোপণ কার্যক্রমে অংশ নেন। তারা একযোগে আম, জাম, কাঁঠাল, আমলকী, পেয়ারা, মেহগনি, বকুল, রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়াসহ ৪০ প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছের আড়াই লাখ চারা লাগান।
এর আগে ইউএনও উপজেলার বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এ বিষয়ে কয়েক দফা সভা করেন। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন নার্সারি থেকে আড়াই লক্ষাধিক চারা সংগ্রহ করে উপজেলার সব জায়গায় পাঠানো হয় বলে তিনি জানান।
চারা লাগানোর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য তিন দিন ধরে পুরো উপজেলায় মাইকিং করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার প্রতিটি মসজিদ থেকে মাইকিং করে রাস্তায় যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।
ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মৌসুমী আক্তার উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, “আজ ভোরে ঘুম থাকি উঠছি। পাসুন, খুন্তি নিয়া রাস্তায় আসছি। বাঁশিতে ফুঁ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই মিলি রাস্তার ধারে গাছ লাগা শুরু করি। এক ঘণ্টায় মনের আনন্দে ২০-৩০টা করি গাছ লাগিয়েছি।”
কাজে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসার বাহিনীকে রাস্তায় মোতায়েন করা হয়। এছাড়া চিকিৎসকদের চারটি দল এলাকাজুড়ে ঘুরে বেড়ায়।
কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতি ৫০ জনের জন্য একজন করে তত্ত্বাবধায়ক রাখা হয়। তত্ত্বাবধায়কদের কাছে ছিল বাঁশি ও ড্রাম। ঘড়ির কাঁটা ৭টায় যাওয়া মাত্র তত্ত্বাবধায়করা বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে ড্রাম বাজালে গর্ত খুঁড়ে চারা লাগানো শুরু করা হয়। ৮টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আবার বাঁশি ও ড্রাম বাজালে চারা লাগানো বন্ধ করা হয়।