কয়েক ঘণ্টা স্থগিত থাকার পর ভারত থেকে নদীপথে ভেসে আসা হাতিটিকে জামালপুরের বন্যার পানি থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
Published : 08 Aug 2016, 02:37 PM
সোমবার বেলা ২টায় শরিষাবাড়ি উপজেলার ধারাবর্ষা গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বন্যার কারণে প্রায় সব এলাকা প্লাবিত থাকায় বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও হাতিটি উদ্ধার করতে না পেরে সোমবার সকালে উদ্ধার অভিযান সাময়িক স্থগিত করা হয়।
“তবে দুপুরের দিকে হাতিটি অপেক্ষাকৃত কম পানিতে এসে পড়ায় উদ্ধারকারীরা আবার উদ্যোগ নেয়।”
হাতিটি উদ্ধারের পূর্বপর্যন্ত বন বিভাগের লোকজন তার ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
বুনো হাতিটি গত ২৮ জুন ভারতের আসাম থেকে বানের পানিতে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় ভেসে আসে। এরপর গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন চর ঘুরে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে অবস্থান নেয়।
তাকে উদ্ধারের জন্য ভারতীয় ৩ জন ও বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের একটি দল জামালপুরে বৃহস্পতি থেকে রোববার পর্যন্ত চার দিন অবস্থান করে। নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে ব্যর্থ হয়ওয়ায় ভারতীয় প্রতিনিধিরা বাংলাদেশকে দায়িত্ব দিয়ে ফিরে যায়।
হাতিটিকে প্রথমে ট্রাঙ্কুলাইজ গান দিয়ে অজ্ঞান করে ট্রাকে তোলার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। কিন্তু সে পানি থেকে ওঠেনি। তাকে তাড়িয়ে ডাঙ্গায় তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়, কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকারীরা বুঝতে পারে, প্রায় সব এলাকায় পানি থাকায় এই পরিকল্পনায় কাজ হচ্ছে না। তাকে শিকারি হাতি দিয়ে প্ররোচিত করে ডাঙ্গায় নেওয়ার উদ্যোগেও সে সাড়া দেয়নি।
এসব কার্যক্রমের সময় জানমালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বরদের সহযোগিতায় এক কিলোমিটার এলাকায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
শেষ পর্যন্ত রোববার বিকালে উদ্ধার অভিযান সাময়িক স্থগিত করা হয়। তবে বন বিভাগের লোকজন হাতিটির দিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখবে বলে জানান জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন।