খুলনার রূপসা উপজেলায় আলতাফ হোসেন মোল্লা হত্যা মামলায় স্ত্রী ও ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
Published : 27 Jun 2016, 07:16 PM
সোমবার খুলনার জন নিরাপত্তা বিঘ্ন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম সোলায়মান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার দুর্জনীমহল এলাকার আলতাফ হোসেন মোল্লার স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৫) ও ছেলে মো. মনজুর আরফিন (৩৫)। রায়ের সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আফরোজা বেগম ওরফে মুক্তিকে (৩৮) আদালত খালাস দিয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফ মাহমুদ লিটন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি জানান, আলতাফ হোসেন মোল্লা শ্রম অধিদপ্তরের অধিনে চাকরি করতেন। এলাকায় তার বেশ কিছু জমিজমাও ছিল। ছেলে মো. মনজুর আরফিন এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে বাবার পরিচয়ে টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করতো এবং মেয়ে আফরোজা বেগম ওরফে মুক্তি বাবার অনুমতি ছাড়া পালিয়ে বিয়ে করে।
“এসব বিষয়ে স্ত্রী মমতাজ বেগম প্রশ্রয় দেন অভিযোগ তুলে তাকে তালাক দেন। পরে আত্মীয় স্বজনদের অনুরোধে আবার বিয়ে করেন। তবে সম্পত্তি ট্রাস্ট করে ফেলেন তিনি।”
তিনি জানান, ২০০১ সালের ২৩ মে রূপসা আলতাফ হোসেন নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। একই ঘরে ফ্লোরে বিছানা করে ঘুমান তার স্ত্রী মমতাজ ও ছেলে মনজুর আরফিন।
“রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন আলতাফ মোল্লার বাড়িতে এসে জড়ো হয়। এরপর তারা খাটের ওপরে রক্তাক্ত অবস্থায় আলতাফ মোল্লাকে দেখতে পায়।”
এ ঘটনার দুদিন পর ২৫ মে আলতাফ মোল্লার ভাতিজা মোল্লা মোজাফফর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আলতাফ মোল্লার স্ত্রী মমতাজ বেগম, ছেলে মো. মনজুর আরফিন এবং মেয়ে আফরোজা বেগম ওরফে মুক্তিকে আসামি করে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বলে জানান পিপি।