বড়াইগ্রাম আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সামশুল আল আমিন সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক নবিউর রহমান জানান, সুনীল গোমেজ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হাই আসামি মনোয়ারা বেগম ওরফে মনিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করেন।
আবেদনের শুনানিকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, সুনীল গোমেজ হত্যার কিছুদিন আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে ভাড়াটে মনি বেগমের বিবাদ হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন।
ঘটনার দিন ওই বাড়িতে থাকলেও ঘটনার পরপরই তিনি ঢাকায় তার স্বামীর কাছে চলে যান। এসব কারণে তার প্রতি নিহতের স্বজনদের সন্দেহ রয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেন।
তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া দরকার বলে আদালতকে জানান।
আদালতে এ সময় মনি বেগমের পক্ষে আইনজীবী না থাকায় রিমান্ড আবেদনের কেউ বিরোধিতা করেনি।
উপ-পরিদর্শক নবিউর রহমান আরও জানান, একই আদালতে ওই সময় আগে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি সবুজ আলীর জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত তার আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ৫ জুন বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার খ্রিস্টান ধর্মপল্লীর বাসিন্দা ক্ষুদ্র মুদি ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজকে তার নিজ দোকানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে তার মেয়ে স্বপ্না গোমেজ বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হাই তদন্ত করছেন।